Tax included and shipping calculated at checkout
শুষ্ক ও ভাঙা চুলের সমস্যা সাধারণত তখনই হয় যখন চুলের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, ভঙ্গুর ও নিস্তেজ। সঠিক dry and damaged hair care রুটিন চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে, ভাঙন রোধ করতে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
চুল ভাঙা ও শুষ্ক হওয়ার কারণ
চুলের ক্ষতির পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার, গরম পানিতে চুল ধোয়া, বারবার হেয়ার কালার বা ব্লিচ করা, এমনকি সূর্যের অতিরিক্ত তাপও চুলের আর্দ্রতা নষ্ট করে। পাশাপাশি মানসিক চাপ, পুষ্টির ঘাটতি ও পর্যাপ্ত পানি না খাওয়াও চুলের ক্ষতির অন্যতম কারণ।
ভাঙা চুল মেরামতের উপায়
চুলের যত্ন শুরু করতে হবে ভেতর থেকে। পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং ভিটামিন–সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া চুলের গোড়া শক্তিশালী করে। বাইরে থেকে যত্নের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইবার প্রাকৃতিক তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল, জলপাই তেল ও আমন্ড অয়েল চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রুক্ষতা দূর করে। তেল ম্যাসাজ করার পর হালকা গরম তোয়ালে দিয়ে ১৫ মিনিট চুল মুড়ে রাখলে তেল আরও ভালোভাবে শোষিত হয়।
dry hair treatment at home হিসেবে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিম ও দই মিশিয়ে তৈরি মাস্ক শুষ্ক চুলে দারুণ কার্যকর। ডিমের প্রোটিন চুলের ভাঙা অংশ মেরামত করে, আর দই চুলে আর্দ্রতা এনে দেয়। মধু ও নারকেল তেল মিশিয়ে মাস্ক বানালেও চুল নরম ও উজ্জ্বল হয়। এই ধরনের best hair mask for damaged hair সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে চুলের প্রাণ ফিরে আসে।
split ends repair করতে হলে নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটা খুব জরুরি। অনেকেই চুলের আগা কাটতে চান না, কিন্তু ভাঙা অংশ না কেটে রাখলে তা ধীরে ধীরে গোড়া পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। প্রতি দুই মাস অন্তর চুলের আগা ছাঁটলে ভাঙন অনেকটাই কমে যায়।
চুল ধোয়ার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে শুষ্কতা অনেকটাই কমানো সম্ভব। খুব গরম পানি ব্যবহার করবেন না; হালকা কুসুম গরম বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। সালফেট–মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, কারণ সাধারণ শ্যাম্পুতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যা চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখে।
hair moisturizing tips হিসেবে সপ্তাহে অন্তত একবার ডিপ কন্ডিশনিং করুন। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি অ্যালোভেরা জেল বা কলার প্যাকও চুলে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এনে দেয়। অ্যালোভেরার এনজাইম চুলকে মসৃণ করে, আর কলার প্রাকৃতিক তেল চুলে মোলায়েম ভাব আনে।
চুলের যত্ন শুধু পণ্যে নয়, অভ্যাসেও লুকিয়ে আছে। চুল ভেজা অবস্থায় আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে চুল আরও বেশি ভাঙে। তুলার বালিশের কাভারের বদলে সিল্ক বা সাটিন কাভার ব্যবহার করলে ঘুমের সময় চুলের ঘর্ষণ কমে যায়।
natural remedies for dry hair হিসেবে নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, দই, মধু, ডিম, অ্যালোভেরা বা অ্যাভোকাডো ব্যবহার চুলে প্রাকৃতিক পুষ্টি জোগায়। এগুলোর মধ্যে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়া শক্ত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
চুলে উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা আনতে চাইলে smooth and shiny hair tips হিসেবে প্রাকৃতিক কন্ডিশনিং খুবই জরুরি। চুল ধোয়ার পর শেষ ধাপে অল্প লেবুর রস মিশ্রিত পানি দিয়ে কুলিকুচি করলে চুলে উজ্জ্বলতা বাড়ে। এছাড়া, সপ্তাহে একদিন গরম তেল দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করলে চুলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং গোড়া শক্তিশালী হয়।
চুল শক্তিশালী করার উপায় হিসেবে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ডিম, মাছ, ডাল, বাদাম এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত। ভেতর থেকে পুষ্টি পেলে চুল বাইরেও তার স্বাস্থ্য ধরে রাখে।
শেষ কথা, শুষ্ক ও ভাঙা চুলের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিততা। একদিনে ফল পাওয়া যায় না, কিন্তু ধারাবাহিক যত্নে চুলে ধীরে ধীরে ফিরে আসে প্রাণ। ঘরোয়া উপাদান, পুষ্টিকর খাদ্য ও সঠিক অভ্যাসে আপনি সহজেই পেতে পারেন নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল চুল। চুলের যত্নে বিনিয়োগ মানেই আপনার আত্মবিশ্বাসে বিনিয়োগ তাই এখনই শুরু করুন নিজের চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়া।

